ডেস্ক নিউজ :
তিন টিকটকার কর্তৃক চট্টগ্রামের ভুজপুর এলাকা হতে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ: অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবরুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। অপহৃত ভিকটিম ১২ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। গত প্রায় ০৮ মাস পূর্বে আসামী রুয়েল আহমেদ(২১) এর সাথে টিকটকের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে রুয়েল আহমেদ বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত তিন মাস পূর্বে রুয়েল আহমেদ তার নিজ বাড়ী সুনামগঞ্জ হতে চট্টগ্রামের পতেংগায় তার বন্ধু অনিকের বাসায় চলে আসে এবং অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন গার্মেন্টেসে চাকুরী শুরু করে। গত ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার পথে ভুজপুর থানাধীন হেয়াকো এলাকা হতে আসামী রুয়েল আহমেদ তার অপর ২জন সহযোগীসহ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে সিএনজি গাড়িযোগে চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা থানাধীন পূর্বকাঠঘর এলাকায় অনিকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
৩। পরবর্তীতে ভিকটিম স্কুল থেকে সময়মত বাড়ী ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা-বাবা তাদের আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের প্রতিবেশীর বাসায় খোঁজাখুজি করতে থাকি। সারাদিন খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে ধারনা হয় যে, তাদের মেয়েকে কে বা কারা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা চট্টগ্রামের ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি জিডি করেন যার জিডি নং-৯১, তারিখ ০৫ জানুয়ারি ২০২৩খ্রি:, এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।
৪। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানাধীন প‚র্বকাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘর হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত আসামী ১। রুয়েল আহমেদ(২১), পিতা-ইব্রাহীম আলী, সাং-পাইক পাড়া, থানা ও জেলা-সুনামগঞ্জ, বর্তমানে প‚র্বকাঠঘর, থানা-পতেংগা, চট্টগ্রাম মহানগর, ০২। মোঃ অনিক (২০), পিতা-মোঃ শাহজাহান, মাতা-মাকসুদা আকতার, সাং-কান্দাপাড়া, থানা-মদন, জেলা নেত্রকোনা, বর্তমানে প‚র্বকাঠঘর, থানা-পতেংগা, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ০৩। ইমন মিয়া(১৮), পিতা-মোকাদ্দেস মিয়া, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-বরুনী, থানা-বিশ্বনাথ, জেলা-সিলেট, বর্তমানে পূর্বকাঠঘর, থানা-পতেংগা, চট্টগ্রাম মহানগরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা বর্ণিত অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং-০২ তারিখ ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ধারা ৭/৩০ (অপহরণ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।