চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ নৌকার প্রার্থী জনগনকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে অনেকেই। একটি নাগরিক সনদ বা জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অর্থনৈতিকভাবে হয়রানি হয়ে অনেক ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিধবা ভাত, বয়স্ক ভাতা পেতে হলে তাকে গুনতে হতো ৮ হাজার টাকা।
নাজেহাল হতে হয় প্রতিনিয়ত। আগামী ২৯তারিখের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে জামানত বাজেয়াপ্ত করে বিতাড়িত করবে সাধারণ জনগণ। আমি নৌকার বিরুদ্ধে নই। আমি নৌকার মাঝির বিরুদ্ধে কথা বলছি।
আগামী নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করবেন ইনশা আল্লা। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমিনাবাদ বাসীকে হয়রানী মুক্ত করবো। টেক্স মুক্ত করব। আনারস মার্কায় ভোট চেয়ে মোঃ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী সায়েদুর রহমান মিঠু তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর চরফ্যাসন উপজেলার আমিনাবাদ, জিন্নাগড় ও নীলকমলে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রার্থীরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে ভোট চেয়ে ভোটাদের দ্বারে দ্বারে জানান দিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুর রহমান মিঠুর পক্ষে মাঝির হাট সংলগ্ন স্কুল মাঠে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহে আলম খোকনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকের বক্তৃতা করেন, চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জামাদার, চরফ্যাশন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, চরআইচা হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফরহাদ হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন টিপু, মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশ চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সদস্য সোহরাব হোসেন লিটন সহ প্রমুখ। এ সময় স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ভোটাররা সহ সহস্রাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতশত কর্মী ভোটাররা মিছিল সহকারে এসে উঠান বৈঠকে সমবেত হয়৷ সহস্রাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উঠান বৈঠকটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। উঠান বৈঠকটি আনারস মার্কার স্লোগানে মুখরিত হয়েছে।