নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দোয়াজিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ মুরাদ পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে লুটপাতের অভিযোগ উঠেছে।
২৬ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার এঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
লুটপাতের ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার গণমাধ্যমকে বলেন,রেহান উদ্দিন (৩২), পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং- মোল্লা বাড়ি, ২। ইকরাম হোসেন (২৪), পিতা আবদুল মোতালেব, সাং : রফিকুল ইসলাম,নতুন বাবুল (৩২), পিতা মৃত মাহবুবুল হক, সাং- আমিন কোম্পানীর বাড়ি,নাজিম (৩১), পিতা: খায়েরুল্লাহ সা: অলি মিঝির বাড়ি,এমরান হোসেন (২৭), পিতা : আবুদল মোতালেব, সাং রফিকুল ইসলামের নতুন বাড়ি,শিল্পর চন্দ্র নাথ (৩৮), পিতা গোবিন্দ চন্দ্ৰ নাথ, সাং গোবিন্দ বাড়ি,সর্ব ওয়ার্ড-৭নং দোয়াজীপাড়া, ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম এছাড়া আরো অজ্ঞাত রয়েছেন ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি আর ও বলেন,আমি এই মর্মে লিখিত অভিযোগ সীতাকুণ্ডে মডেল থানায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ টার সময় উল্লেখিত রেহান এবং তার বাহিনী নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইকরাম হাতে থাকা আনুমানিক ২ ফিট লম্বা গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে আমার বসত বাড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেন অতর্কিত হামলা করে এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে আমার বাম হাত দিয়ে প্রতিহতের চেষ্টা করি। এ সময় ছুরির আঘাতে আমার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ায় তথা হাতের তালু মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়।
রেহান বাহিনী ক্যাডার বাবলু তার হাতে থাকা লোহার রডের দ্বারা পিঠে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই, পরবর্তীতে রেহান,ইকরাম,বাবলু,নাজিম,ইমরান,শিপ্লব সহ অজ্ঞাত ৮-৯ সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে কাঠের আলমিরার কাঁচ ও তালা ভেঙে আলমিরাতে রক্ষিত গরু বিক্রির ৬২,০০০ ( বাষট্টি হাজার টাকা)আলমারিতে থাকা রক্ষিত আমার স্ত্রীর ১ ভরি ওজনের গলার হার ও ৬ আনা ওজনের কানের দুল, বিবাহিতা (আকদ) কন্যা শারমিন আক্তারের ১ ভরি ৭ আনা ওজনের গলার হার, ১০ আনা ওজনের কানের দুল সহ সর্বমোট ৩ ভরি ৭ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, আলমিরার উপরে অবস্থিত মানিব্যাগ (জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি, রয়েল সিমেন্টের চাকুরীর পরিচয়পত্রের মূল কপি, টিকা কার্ডের মূল কপি ও ১২৪০( টাকা) সহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। যেখানে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩,২১,০৫২/- টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্ত্রী ও কন্যা বাধা দিলে শিপ্লব আমার কন্যার তলপেটে লাথি দিলে তৎক্ষণাৎ সে মাটিতে পড়ে এবং আমার স্ত্রীকে ইমরান গলাধাক্কা ও লাথি দিলে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বাবলু তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আলমিরার কার্ট ভেঙ্গে ইকরাম তার হাতে থাকা লোহার ছুরি দিয়ে আলমারির তালা ভেঙ্গে ফেলে,ঘটনাটি ভিডিও করার চেষ্টা কালে আমার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে আরমানকে ছুরি দিয়ে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করলে সে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন আমার ছেলের দুপুর ২টায় মডেল টেষ্ট পরীক্ষা ছিলো। সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমণের মুখে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ঘটনা সংঘটিত হবার পর পর তারা আমার বাড়ির গেটে অবস্থান নিয়ে আমাদেরকে জিম্মি করে রাখে এক পর্যায়ে আমার কন্যা শারমিন তার মায়ের মোবাইল নং 01858228756) হতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন দুপুর ১.৯হতে ১.১৯ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরী সেবার ফোন করি।। দীর্ঘ সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে জিম্মি করে রাখার এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার পর দুপুর ১.৪৯ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসসলে। এসময় হামলাকারিরা গা ঢাকা দেয়, পুলিশের সহযোগিতায় আমি ও আমার কন্যা সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী ওয়ার্ডে চিকিৎসা গ্রহণ করি।আমাকে এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে।এভাবেই নিশংস হামলার ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী পরিবার।
রেহান এবং তার বাহিনী বিপক্ষে গ্রামের সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পায়।যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের হয়তো গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে এবং তার টর্চার রুমে নির্যাতন করে বলে জানিয়েছেন না প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।
রেহান এবং তার বাহিনীর চাঁদাবাজি,ভূমি দখল সহ গুরুতর অভিযোগ এর প্রমাণ গেছে। রেহানের উদ্দিন এর নেতৃত্বে দিন দিন মারামারি,কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে,হামলা মামলা এবং কোপাকোপির ঘটনা যেখানে নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুরাদপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ও সোনা অলংকার লুটপাটের অভিযোগ উঠে এসেছে। এছাড়া পূর্বে রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে আবারো নতুন করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান হামলার শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নিরীহ পরিবার।