শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বেনাপোলে মাছের ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার তজুমদ্দিনে দিলারা হাফিজের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত শিক্ষার মানোন্নয়নে কেয়া বৃত্তি সহায়ক ভূমিকা রাখছে” ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর অভিযান – বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সতর্ক আরোপ : পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হয়রানি বন্ধের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সিইউজে’র : তজুমদ্দিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের পদায়নের এক দফা দাবিতে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি শারদীয় দুর্গাপূজা সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে -বললেন ফরিদা খানম, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম : মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো কেয়া মণি’র লেখা “অভ্যস্ত পাথর” কবিতাটি অপরাজনীতি বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে – মতবিনিময় সভায় সাইফুল আলম মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো রীতা জেসমিন এর লেখা “গোধূলি’

পথশিশুদের জন্য কল‍্যাণ তহবিল করার দাবি – বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১১.৩৩ এএম
  • ১৮৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, মানব সময় ||

দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ ভাগ সুবিধা বঞ্চিত শিশু রয়েছে। গতকাল ১২ অক্টোবর রোজ বুধবার বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩০ টি সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট‍্যশালা সেমিনার কক্ষে ” সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় সরকার ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ।

এই সময় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,বাংলাদেশে প্রায় ২০ লক্ষ সুবিধা বঞ্চিত শিশু রয়েছে। যা আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ ভাগ। সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সমাজের অধিকাংশ পথ শিশু তাদের পিতা মাতার দাম্পত্য কলহ, অবৈধ গর্ভপাত যার মাধ্যমে সন্তানকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে অনীহা। এছাড়াও পিতা মাতা হারানো এতিম সন্তান, শিশু শ্রমিক, আশ্রিত শিশু, পাচার থেকে উদ্ধারকৃত শিশু, শোষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশু, বাল্যবিবাহের শিকার শিশু ও হারিয়ে যাওয়া শিশু, বৈষম্যের শিকার হয় শিশু।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের প্রায় ৮৩ ভাগ ঢাকায়, ৫ ভাগ চট্টগ্রাম,১ ভাগ বরিশাল এবং সারাদেশ মিলে ১১ ভাগ পথ শিশু বসবাস করে। যার ৫০ শতাংশ শিশু শ্রমের সাথে যুক্ত, ৪২ শিশুর রাতে ঘুমানোর জায়গা নাই, ৩৫ শতাংশ শিশু প্রতিদিন গোসল করে না, অসুস্থ হলে ৬০ ভাগ শিশুর দেখাশোনা করার কেউ থাকেনা, অর্থের অভাবে ৮০ ভাগ শিশু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।

উক্ত অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মুহাম্মদ আলীর মুল প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে আলোচনায় ড. নাঈমা খানমের সঞ্চালনায় ও বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন এম জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস এর সাবেক ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ভূইঁয়া,বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আজিজ, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আরফান চৌধুরী আপেল, পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজবাউদ্দীন মোঃ জীবন চৌধুরী, গ্লোবাল টেলিভিশনের ক্রাইম চিপ অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর আনিসুর রহমান সাব্বির।

এই সময় অন‍্যানদের মধ্যে আরও বক্তব্যে রাখেন,সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনু, মেডিসিন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ,গবেষক ও সমন্বয়ক সবুজ আন্দোলন গবেষণা পরিষদের সদস্য ডাক্তার সাকিরা নোভা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ঈসা, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, মোঃআল আমিন তাওহীদ, বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলার সহ সভাপতি, আসাদ আলী রাজু, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফরিদ গাজী, খন্দকার মোঃ ইয়াছিন, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সমন্বয়ক মোঃ ফয়জুল আলম প্রিন্স, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ মহিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বুলবুল, প্রমূখ।
এই সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়
১/ সকল প্রকার শিশু নির্যাতন বন্ধ, অবহেলা, শোষণ ও পাচার বন্ধে “শিশু ইউনিট পুলিশ” নামে শাখা চালু করতে হবে।
২/ প্রত্যেকটি জেলা, মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার কল্যাণ তহবিল গঠন করে প্রান্তিক পর্যায়ে সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশুর ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে।
৩/ সুবিধা বঞ্চিত শিশুর জন্য সুষম খাবার,স্বাস্থ্য, পোশাক, নিরাপদ বাসস্থান, বিনোদন ও আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪/ ১২-১৬ বয়সী সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং বয়স অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
৫/টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল শিশুর সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য আলাদা ইউনিট চালু করতে হবে।
৬/ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুর তালিকা প্রণয়ন করে প্রত্যেকটি উপজেলায় পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭/ শিশুর আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকটি কোর্টে একজন বিজ্ঞ উকিলকে সরকারিভাবে আইনি পরামর্শের জন্য নিয়োগ দিতে হবে।
এই সময় ৩০ টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com