মোঃ হেলাল উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওই ডিপোর মালিকপক্ষ। এ ছাড়া এই দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়া প্রত্যেককে (৬)ছয় লাখ এবং আহত প্রত্যেককে(৪) চার লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার রাতে সাংবাদিক দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিকপক্ষের কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবেক ডিআইজি প্রিজন শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। বিএম ডিপোটি নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানার একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ পক্ষের মালিক চট্টগ্রামের দুই ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান এবং মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে এরা আপন ভাই। শামসুল হায়দার সিদ্দিকী ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের জিএম হিসেবে কর্মরত।
শামসুল হায়দার জানান, ডিপোতে থাকা কনটেইনারের মধ্যে ৯০ শতাংশ ছিল রপ্তানির অপেক্ষায় থাকা তৈরি পোশাক, ১০ শতাংশ ছিল খাবারের। এর বাইরে ডিপোর ভেতরেই একটু দূরে কিছু রাসায়নিক পদার্থের কনটেইনার ছিল। এর মালিক আল-রাজী কেমিক্যাল লিমিটেড। যার মালিক মুজিবুর রহমান।
এ ছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডে যেসব কর্মচারী নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে শিশু থাকলে তারা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে ওই কর্মচারীর বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো সদস্য থাকলে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। আগুন লাগার প্রায় ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে নিরলস কাজ করে চলেছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল। সঙ্গে আছে সেনাবাহিনীর প্রায় ২০০ জনের একটি দল। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাত ১০টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মধ্যে (৯)নয় জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আগুন নেভাতে গিয়ে জীবনই নিভে গেছে তাদের। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের তাদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।