তোতা মিয়া – পঞ্চগড়
পঞ্চগড় বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আমতলা কাজীপাড়া গ্রামে শফিউল ইসলাম রসুল,(৩২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ তার নিজ শয়ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন পঞ্চগড় বোদা থানার পুলিশ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার সময় পঞ্চগড় কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শফিউল ইসলাম রসুল (২৭) ঐ গ্রামের মোঃ মোজাফফর হোসেন এর ছেলে।
মৃত ব্যক্তির স্ত্রীরির অভিযোগ আমার স্বামীর আত্মহত্যা করেনি তাকে খুন করা হয়েছে। কয়েক দিন থেকে আমার শশুরবাড়ির লোক জন আমার ও আমার স্বামীর উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে আমাদের কে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছে আমার স্বামী ওদের কথা না শুনায় ওরা আমার স্বামী কে খুন করছে এখন খুনটা কে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। দু’দিন আগে আমি বাসায় না থাকায় আমার স্বামীকে মেরে রক্তাক্ত করেছে আমার শশুর, মোজাফফর, তার বড় ছেলে সহিদুল, ও তার স্ত্রী রোকেয়া, ছোট ভাই সহিরুল, এরা সকলে মিলে আমার স্বামীকে খুন করেছে,
আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বাদাম শুকাতে বাড়ির বাইরে যাই। এসে দেখি সয়ন কক্ষে ঝুলে আছে আমার স্বামীর লাশ। আমার কান্না শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত শফিউল এর ছোট শিশু ছেলের আশিক(৫), সাথে কথা হলে শিশুটি বলে,আমার বাবাকে আমার দাদা,চাচ্চু, বড় মা সবাই মিলে লাঠি দিয়ে অনেক মেরেছে শরীল থেকে অনেক রক্ত বাইর হয়েছে, আমার বাবা কে সবাই মারে ফেলছে তাই আমার বাবা মরে গেছে এই কথা বলে শিশুটি কান্নায় ভেঙে পরে।
পরে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, এটা খুন আত্মহত্যা হতে পারেনা ছেলেটি খুব সহজ-সরল ও ভালো ছিল।কিছুদিন আগেও তার পরিবারের সবাই মিলে ছেলেটিকে লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেছে, সে আমাদেরকে তার জখমগুলো দেখিয়েছে। এদিকে মৃত ব্যক্তির
গলায় দড়ি দাগ এর তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি ।
পঞ্চগড় বোদা থানার এসআই মোঃ মঞ্জুর হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কে যেন থানায় কল দেয়, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে চলে আসি কক্ষ থেকে উদ্ধার করি।
মৃত ব্যক্তির, বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে তাই সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা।