নিউজ ডেস্ক :
ভোলা – ৩ লালমোহন তজুমদ্দিন এর সাবেক এমপি মেজর জসিম এর উপর হামলা ও প্রাইভেট কার ভাংচুর
তিনি নিজে ঘটনার বিবরনে বলেন –
২৭ মে ২০২২ লালমোহনে আসি। বৃষ্টির ভেতরে আমি ও আমার স্ত্রী তজুমদ্দিনে যাই। যোহর নামাজের সময় পথের পাশে এক মসজিদে নামাজ পড়ি। সেসময় একটি ছেলে আমার গাড়ির ছবি তোলে। আমরা তজুমদ্দিনে প্রবেশ পথে যে মুহুর্ত্বে থানার গেট বরাবর পৌছি তখন ২০/২৫ জনের একটি দল আমাদের পথ রোধ করে দাড়ায়। যার নেতৃত্বে ছিল ফজলু দেওয়ানের নাতি। তারা গালিগালাজের সাথে আমাদের গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ইট দিয়ে আঘাত করে। গাড়িতে বারবার আঘাত করার সাথে সাথে আমার স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে তাদের প্রতিহত করতে উদ্দত হলে আমিও নেমে পড়ি। আমার গাড়িতে থাকা স্কিপিং রোপ দিয়ে দুজনকে আঘাত করলে তার পাশের কাঠের দোকান থেকে লম্বা কাঠের ফালি নিয়ে তেড়ে আসে। আমি উপায়অন্তর না দেখে আমার পকেটের পিস্তল বের করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা উত্তেজিত অবস্থায় তাদের বিলম্বের কারন জানতে চাই। আমাদের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আমি ও আমার স্ত্রী বাজারের ভিতর কিছুক্ষন হাটি। পুলিশ আমাদের ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়িটা থানার ভেতরে নিয়ে রাখে।
কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী চক্র আরও দল ভারি করে থানার সামনে আসে। এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরা আমাদের থানার ভিতর নিয়ে আসলে তারাও থানার ভিতর প্রবেশ করে আমার গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙ্গে ফেলে। আমার ড্রাইভার থেকে তার মোবাইল কেড়ে নিতে চাইলে ধস্তাধস্তি হয়। ড্রাইভারের কাছে থাকা আমার মোবাইলটি ঘাসের দিকে ছুড়ে মারে। আমি এগিয়ে গিয়ে আবারও স্কিংপিং রোপ দিয়ে আঘাত করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ড্রাইভার ঘাসের ভেতর থেকে মোবাইলটি কুড়িয়ে এনে আমাকে দেয়।
অতপর সন্ত্রাসী চক্র থানার সামনেই স্লোগান দিতে থাকে। তাদের স্লোগান ছিল সংসদ সদস্য নুরনবী চৌধুরীর পক্ষে। আমি থানার বারান্দায় বসে সংস্লিষ্ট সকলকে অবগত করি। এবং জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি কাগজে হাতের লিখে একটি সাধারন ডাইরী করি। অতপর পুলিশ আমাকে লালমোহনের কালমা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। আমি সেখান থেকে গজারিয়া আমার বাসায় চলে আসি।
থানার কম্পাউন্ডে বসা অবস্থায় তাদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে এটা অনেকটা পূর্ব পরিকল্পিত। থানার সিসি ক্যামেরা বলে দিবে কারা এই আক্রমনের সাথে জড়িত।