এম সফিকুল ইসলাম – শশী ভুষণ প্রতিনিধি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে সকল পরিক্ষা নেওয়ার দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোববার (২৪ জানুয়ারি ) ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক বিশাল মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদানের মাধ্যমে দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ এইচ এ শরীফ, আহবায়ক মোঃ রায়হান হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪র্থ বর্ষ,
সমন্বায়ক মোঃ শাকিল মাতাব্বর শ্রাবণ
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪র্থ বর্ষ
সদস্য সচিব মোঃ সাব্বির হোসেন,সুহাস সোহাগ হোসেন,মোঃ হান্নান,আসমাউল হুসনা হ্যাপী, মোঃআকবর হোসেন, জয়ন্ত সাহা,সাইফুল ইসলাম আকাশ,মোঃ আরমান হোসেন,মোঃসিহাব,
হোসেন,মাকসুদুর রহমানসহ প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেওয়ার জোর দাবি জানান। তারা বলেন, ‘চলমান পরীক্ষাগুলো ঠিকঠাকই চলছিল। হুট করে গত বছরের ন্যায় এবারও স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেয়, আমাদের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়ে আমাদের সেশনজটে ফেলা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীবান্ধব কোনও সিদ্ধান্ত নয়।
আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলছিল। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য মেসে উঠেছে। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তারা বিপাকে আছেন।
তারা আরো বলেন পরিবারের বোঝা থেকে মুক্তি চাই,চলমান পরীক্ষা স্থগিত চাই না’, ‘সেশনজট মুক্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাই’. ‘খেলা হয় মেলা হয়, পরীক্ষা দিতে কিসের ভয়’ এমন নানা শ্লোগানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।
বর্তমান সময়ে বাণিজ্য মেলা, বিপিএলসহ সকল কিছুই আগের মতো চলছে।কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের চলমান পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ খুজে পেলাম না।সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে আমাদের পরীক্ষা চলবে না কেন?আমরাতো আর শিশু নই,আমাদের এখন বয়স হয়েছে। আমরা অন্যান্যদের চাইতে বেশি সচেতন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, করোনার কারণে বার বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষাখাত পিছিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা না দিতে পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষিত বেকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। দীর্ঘসময় ধরে একই শ্রেণিতে পড়ে থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানে তাদের খরচ বাড়ছে, কিন্তু প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে এ খরচ বহন করা সম্ভব হয়না। ২০১৬-১৭ সেশনে একই বর্ষে আমরা গত ২-৩ বছর ধরে পড়ে আছি, কয়েকদিন আগে অনার্স চতুর্থ বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হলেও হঠাৎ করে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। অতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।