সমকালের গোয়ালন্দ ও শিবচর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শনিবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মায় অতিরিক্ত ঘূর্ণিস্রোত দেখা দিয়েছে। ফলে ফেরী চলাচলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। ঘাটে ফেরি এলেই মানুষের গাদাগাদি শুরু হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা গোয়ালন্দ ঘাটেও। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তারা ঢাকা বা তার আশপাশে ফিরছেন।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে জানানো হয়েছে, শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় ঢাকাগামী কর্মজীবী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড়ে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী যাত্রীরা ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলের উদ্দ্যেশে রওনা দিচ্ছেন।
চিলমারী নৌ-ঘাটেও ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। শনিবার ভোর থেকে এ পথে ভিড় দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। এ সুযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ ছোট-বড় সব রকম নৌকা এবং বালু উত্তোলনকারী ট্রলার দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ ও ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণার পরই ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছে মানুষজন। শুক্রবার রাতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকা ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুলছড়ির বালাসী নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে নৌকায় করে যাত্রা করতেও দেখা গেছে।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুট হয়ে শহরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। ট্রলারে গাদাগাদি করে ঢাকা-চট্টগ্রামে যাচ্ছে কর্মজীবী মানুষজন। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল থেকে ট্রলারে করে এসে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট ও মজুচৌধুরী হাট ফেরিঘাটে ভিড় করছেন তারা।
একই চিত্র দেখা গেছে নাটোর, ময়মনসিংহসহ দেশে আরও কয়েক জেলায়। শনিবার সকাল থেকে নাটোর জেলা সদরসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন নাটোর প্রতিনিধি। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাজধানী ঢাকাসহ গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন পেশার কর্মজীবী মানুষের ভিড়ি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল প্রতিনিধি।