আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম শহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। গতকাল শুক্রবার জেলা যুবদলের সদস্য আবু তাহের মেছবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
জেলার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল, আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ ও মোমিনুর রহমান মুমিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহিন্নবী সাগর, রাকিবুজ্জামান রাকিব, আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান টিটুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৮৫ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েতের ওপর দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা হামলা করেন। তাঁরা হত্যার উদ্দেশে মারধর করে অনেক আন্দোলনকারীকে গুরুতর জখম করেন। এ ছাড়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ও প্রাণনাশের হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার জমায়েত চেষ্টাকালে শহরে প্রবেশের বিভিন্ন পথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। শহরের শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জড়ো হয়। অন্যদিকে শহরের দাদামোড়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে অংশ নেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা–কর্মীরা।
ওই দিন আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হন। পরে আওয়ামী লীগ পিছু হটতে বাধ্য হয়।