মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী সেতেরা রব্বানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির পরীক্ষার্থী রাস্তা পারাপারে এক মহৎ উদ্যোগ ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ সহ অন্যান্য দাবি তে আগামীর ভোলা ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রামে পদ্মা উঠলো মেয়র একাডেমি কাপ অ-১৩ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৫ জামায়াতের উদ্যোগে চট্টগ্রামের বির্জাখাল খনন কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ডা. মামুনুল ইসলাম চৌধুরীর মায়ের জিয়াফত অনুষ্ঠান সম্পন্ন : পথশিশুদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল ধারায় ফেরানো শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেন সিএমপি কমিশনার ফিলিস্তিনের পক্ষে বাগেরহাট জেলা ফোরাম,চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত: দঃ হালিশহর ফুটবল একাডেমির উপ- কমিটি গঠন: চেয়ারম্যান রাসেল, টিম ম্যানেজার বাবলা মেয়র ডা. শাহাদাতের অর্জন: বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পেল চসিক

তজুমদ্দিনে ভূয়া খাস জমি দেখিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গভীর নলকূপ বসানোর অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ মে, ২০২২, ২.৫৭ পিএম
  • ৪০১ বার পঠিত

 

এমএ হান্নান তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥

ভোলার তজুমদ্দিনে ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া খাস জমি দেখিয়ে এলডিডিপি প্রকল্পে’র সরকারী গভীর নলকূপ বসানো পায়তারা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তজুমদ্দিনের বিভিন্ন খামারীরা জেলা কর্মকর্তার বিচারদাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় গবাদি-পশুর বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি গভীর নলকূপ বরাদ্ধ পায়। যদিও প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী সকল প্রকার খামারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর নলকূপ বসানোর up be নির্ধারণ করবে। কিন্তু ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে না জানিয়ে অতিগোপনে ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া খাসজমি দেখিয়ে আড়ালিয়া গ্রামের মাঝারি গরুর খামারী ইদ্রিস মিয়ার নামের তালিকা ঢাকায় প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন। প্রেরিত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় মোঃ ইদ্রিস মিয়া এর নামে বরাদ্দকৃত খাস জমিতে ১নং খতিয়ানের ৪৫নং মৌজার ২৬৬নং দাগে গভীর নলকূপটি বসানোর চিঠি আসলে বিষয়টি নিয়ে খামারীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে ৪৫নং মৌজা নামে তজুমদ্দিনে কোন মৌজাই নেই। সে অনুযায়ী খামারীদের দাবী খাসজমির পুরো তথ্যটি ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল ঘুষের বিনিময়ে ভূয়া প্রেরণ করছেন। তাছাড়া ইদ্রিস মিয়ার খামারে বর্তমানে একটি নলকূপ রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির দূরত্ব ৫কিলোমিটারের কম হলেও চিঠিতে দূরত্ব দেখানো হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার।
জানতে চাইলে তজুমদ্দিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার পিএএ বলেন, খামারী ইদ্রিসের তথ্য কিভাবে প্রকল্পের অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে সঠিক খাস জমি নির্বাচনে করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নলকূপটি বসানো হবে।
অভিযুক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডলকে ফোন দিলেও তার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ডা. হিরন্মময় বলেন, ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাটা পেয়েছি। তবে জমির তথ্যগুলি আমরা যাচাই করে দেখিনি। খাস জমির তথ্য ভূয়া হলে সেখানে নলকূপ না বাসিয়ে অন্য জায়গায় বসানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com