ইট পাথরের এই নগরীতে এক চিলতে সবুজ অার পাহাড় ঘেরা উন্মুক্ত স্হানগুলোর মধ্যে সি অার বি অনন্য । নগরবাসী এই স্হানটিকে চট্টগ্রামের ফুসফুস বলে। এইখানে রোজ সকালে উঁকি দেয় সোনালী রোদ্দুর। শতবর্ষের রোদ- বৃষ্টি, ঝড় তুফান সয়ে কত গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। প্রকৃতির দেওয়া অপরূপ শোভা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘেরা সি অার বি’র শতবর্ষী গাছ কেটে পাহাড়-টিলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস করে
এখানে বড়সড় একটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বাধা ও মতামত উপেক্ষা করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে সিআরবিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সব আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে রেলওয়ে। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ রেলের সঙ্গে চুক্তি করার পর এখন হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু রেলওয়ে এই হীন প্রচেষ্টায় ফুঁসে ফেঁপে উত্তাল হছে বীর চট্টলা। মহামারী করোনার তৃতীয় ছোবল, ঝুম ঝুম বৃষ্টি, শকুনের হুংকার সব কিছুকে তুচ্ছ করে অাজ এক কাতারে পুরো শহর। সবার একটা দাবি যে কোন মূল্যে রক্ষা হোক প্রকৃতি, রক্ষা হোক সি অার বি, বিশুদ্ধ থাকুক অক্সিজেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাক নিঃশ্বাস ফেলার স্বস্তি।
অামরা চাই হাসপাতাল হোক, তবে তা সবুজ ভূ- স্বর্গ ধ্বংস করে নয়। অাশা করি হাসপাতাল নির্মনের স্হান নির্বাচনে সরকার চট্টগ্রাম বাসীর ইচ্ছের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিবে।
অামরা বাচঁতে চাই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে। তাই অাসুন সবাই সোচ্চার হয়ে চট্টগ্রামের ফুসফুস সি অার বি কে রক্ষা করি দানবের ছোবল থেকে।