সেলিম রেজা তাজ স্টাফ রিপোর্টার:
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় কতৃক ১২আগস্ট ২০২৫ তারিখ ভোক্তা অধিকারের ৯ টি টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক, আলু, দেশি পেয়াজ, সবজি, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান কালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি ও জরিমানা করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ সেলিম এর খুলনা মহানগরীর নেতৃত্বে সদর থানার পাওয়ার হাউস মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিষ্টি মহলকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৬ হাজার টাকাজরিমানা আরোপ করা হয়। এসময় ১ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক(সংযুক্ত) জনাব প্রনব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানার পাওয়ার হাউস মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে বাধন অটো মেশিনারিজকে ৩ হাজার টাকা, আল বাকারাহ সুইটসকে ৩ হাজার ও মিলন ফুয়েলকে ৫ হাজার টাকা এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।।
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আলী এর নেতৃত্বে ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করার অপরাধে মধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫ হাজার টাকা ও মহান্ত মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২হাজার টাকা এবং বিশ্বাস ফার্মেসিকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এ সময় মোট ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সজল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে
শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে মেসার্স অধিকারী হোটেলকে ৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স ভাই ভাই হোটেলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় মোট ২ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মেহেদী হাসান তানভীরএর নেতৃত্বে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুপর্ণা কসমেটিকসকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এ সময় মোট ০১ টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। ।
ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব নিশাত মেহের এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজি ফার্মেসিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা এবং আলি ফার্মেসিকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এসময় মোট ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ।
বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার সদর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং দীপা স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এ সময় মোট ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ।
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার বকচর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মা জরদা কেমিক্যাল ওয়ার্কাসকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এসময় ০১ টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জমিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব শামীম হাসান এর নেতৃত্বে লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে মেসার্স তোহা এন্টারপ্রাইজকে ৪ হাজার টাকা এবং পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে মেসার্স নিরাময় হোমিও হলকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এ সময় মোট ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযানে ১৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।