মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন,মহেশখালী
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকের পানির ছড়ার পশ্চিমে অমবশ্যাখালীর বগাচরত এলাকায় সরকারি প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে শত বছরের পুরানো খালসহ কয়েক’শ একর সরকারি জায়গা দখল করে ঘের নির্মাণ করে। উক্ত ঘেরটি কেটে দিতে বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী ও মহেশথালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার জয় বন বিভাগের একটি বিশাল টিম অভিযান চালায়।নির্মানাধীন ঘেরটির অপসারন করতে বন বিভাগের শতাধিক সদস্য বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একাধিক অংশের বাধঁ কেটে দেয়। এ সময় দস্যুদের ছত্রবঙ্গ করতে বন কর্মীরা ৫০ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে।
গত ২৪ মার্চ দিন ব্যাপী ও রাত ৮টা পর্যন্ত প্যারাবন কেটে নির্মান করা ঘেরটিতে অভিযান চালায় বন বিভাগ।
অথচ প্যারাবনের নিধনযজ্ঞ পরিদর্শন করা কালে ঘটনাস্থলে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার ইন্দনে জনৈক এরশাদ গং ঘেরটি নির্মাণ করে।স্থানীয়রা জানান শত শত শ্রমিক ও স্কেভেটর দিয়ে প্যারাবনের কয়েক হাজার বাইন কেটে শত বছরের পুরানো খালসহ কয়েশ একর জায়গা দখল করে চিংড়ি ঘের ও লবণ মাট করেন ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এরশাদেরর সাথে যোগাযোগ তাকে পাওয়া যায় নি। মোটো ফোনেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী ও মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, জায়গাটি দূর্গম ও জনমানব শুন্য বন বিভাগের লোকজন বুঝে উঠার আগেই স্কেভেটর দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের নির্মাণ শুরু করেন ভূমিদস্যরা। সম্প্রতি একবার উৎচেৎ অভিযান হলেও ২৪ মার্চ বিশাল দল ও সরাঞ্জামাদী নিয়ে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেৎ অভিযান শুরু করি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় দস্যুদের ছত্রবঙ্গ করতে বন কর্মীরা প্রায় ৫০ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে বলেও জানান।কক্সবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ জানান বন বিভাগের জমিতে অবৈধ ভাবে তৈরি এরশাদ গং এর চিংড়ী ও লবণ প্রজেক্টটে অভিযান চালিয়ে বাধঁ কেটে দিয়ে উচ্ছেৎ করা হয়। প্রায় ১০০ একর সরকারী জমি উদ্ধার করা হয়।ছবিঃ মহেশখালীঃ অবৈধ ভাবে বন বিভাগের সরকারী জমি ও বন দখল করে নির্মানাধীন ঘের কেটে দিচ্ছে বন বিভাগ