রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :
কাজুবাদাম ও কপি চাষ করার নিয়ম ও সহায়তা প্রধান করেন,জনাব মাসুম কবির রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সিরাজাম মনীর। এতে রাউজানের মাটি ও মানুষের নেতা এবি এম ফজলে করীম চৌধুরী এম পি মহদয় প্রসংশায় অফিসার বৃন্দু বলেন এম পি মহদয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে রাউজানের কৃষি উদ্যোক্তাদের সফলতায় মুগ্ধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার উক্তি কৃষক বাচান দেশ বাচঁবে ৷ বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের যুগোপযোগী নীতির কারণে বাংলাদেশের কৃষি আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কৃষির সব খাতেই আমাদের সফলতা অভাবনীয়। কৃষি মন্ত্রণালয় দেশে অপ্রচলিত ও উচ্চমূল্যের ফসল চাষে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ রকমই সম্ভাবনাময়, রপ্তানিযোগ্য অপ্রচলিত এবং উচ্চমূল্যের একটি ফসল যার নাম কাজুবাদাম। কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ, সে সঙ্গে ঔষধি গুণাগুণ থাকায় বিশ্ববাজারে কাজুবাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলেছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, কাজুবাদাম মানবস্বাস্থ্যে বড় অবদান রাখে। এর উল্লেখযোগ্য হলো:
এক. কাজুবাদামে থাকা ফসফরাস, ভিটামিন-ই ও বি, ফলিক এসিড হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাজুবাদামে ওলিসিক এসিড নামে একধরনের মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড আছে যা খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল ও ট্রাইগিসারাইডকে কমিয়ে দেয়। হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ হার্ট অ্যাটাক রোগ থেকে রক্ষা করে;
দুই) কাজুবাদামের ক্যালসিয়াম, কপার, জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে। ফসফরাস দাঁতের বৃদ্ধি ঘটায়। দাঁতকে শক্ত করে ও সুন্দর করে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে সাহায্যে করে। বয়স্ক লোকের অস্টিওআর্থাইটিসের মতো হাড়ের রোগ প্রতিরোধে কাজুবাদাম বেশ কার্যকর। কপার ও ক্যালসিয়াম অস্টিওপরোসিস রোগ কমায়; তিন) কাজুবাদামে থাকা প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং ক্যানসারে প্রতিরোধ করে; চার. কাজুবাদামে কম সোডিয়াম এবং বেশি পরিমাণে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া কাজুবাদাম ইউরিক অ্যাসিড তৈরি বন্ধ করার ফলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে; পাঁচ. কাজুবাদামের ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্রেনের শক্তি বৃদ্ধি পেলে বুদ্ধি, স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বাড়ে। কাজুবাদামের উপকারী ফ্যাটি এসিড ব্রেনের শক্তি বাড়ায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে; ছয়. কাজুবাদাম শরীরের শর্করা এবং চর্বি বিপাকে সহায়তা করে। কাজুবাদামের ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিনের মাত্রা এবং কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়; সাত. কাজুবাদামের প্রোটিন, কপার, জিংক এবং সেলিনিয়াম চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্ত করে। কাজুবাদামের ভিটামিন-সি, কপার, কোলাজেন, ইলাসটিন, জিংক, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম ত্বকের রং বাড়ায় এবং ত্বক ফাটা রোধ করে; আট. মানবদেহের ওজনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন দৈনিক ৪ থেকে ৫টি কাজুবাদাম খাওয়া উত্তম। কাজুবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে; নয়. নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে চোখ বেশ সবল থাকে এবং ক্ষতিকর বিকরিত রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করার ক্ষমতা অর্জন করে; দশ. কাজুবাদামের জিংক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। কাজু বাদামে প্রচুর ভিটামিন থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া গঠিত মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এভাবে মানব শরীর সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে।
ভবিষ্যতে কৃষিতে কাজুবাদামই হতে পারে বাণিজ্যিক কৃষির দ্বার উচ্চআসনে সূত্রপাত। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় যেমন কৃষককে নিয়ে ভাবছেন তেমনিভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বাণিজ্যিকায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।