চরফ্যাসন(ভোলা) প্রতিনিধি :
ভোলার চরফ্যাসনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে বেঁড়িবাধের ঢাল কেটে ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে শশীভূষণ থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান মাতাব্বরের বিরুদ্ধে। বাধের ঢালও জলাশয় দখলের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
গতকাল রোবববার সরেজমিনে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় গিয়ে বেঁড়ি বাধের ঢাল কেটে ও জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মান করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকায় এভাবেই দিনের পর দিন দখল হয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি। বাধের ঢাল কেটে ফেলায় ঝুঁকি পরেছে শহর রক্ষবাধ। নদী ভাঙনের হুমকিতে পরেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার।
স্থানীয়রা জানান,ভবন নির্মান কালে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের জানালে তারা এসে কাজ বন্ধ করে যান কিন্তু তারা যাওয়ার পরই আবার নির্মান কাজ শুরু করে দেন দখলকারীরা। পুনরায় কাজ শুরুর খবর জানালেও পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আর কাজ বন্ধে এগিয়ে আসেন না। একারনে দিনের পর দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জমি ও জলাশয়গুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নির্মান হচ্ছে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন নিয়ে ভবনটির নির্মান কাজ চলছে।
যুবলীগ নেতা লোকমান হোসেন জানান, জমিটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। শুক্কুর নামের জনৈক ব্যাক্তির নিকট থেকে প্রায় ৯শতাংশ জমির দখল খরিদ করে তিনি ভবনটি নির্মান করছেন। কত টাকায় খরিদ করেছেন তা জানাতে রাজি হননি তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি খরিদ করে ভবন নির্মান করতে পারেনকি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেঁড়ি বাধের জমিতে সকলে ভবন নির্মান করছেন তাই আমিও করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ চরফ্যাসন কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাছান মাহমুদকে একাধিকবার ফোন করে রিসিভ না করায় এব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আল আমিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ভবন নির্মানে কারো সুযোগ নেই। কেউ জবর দখল করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে