মানব সময় ডেস্ক :
রাউজানের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ব্যাংক চুরি’র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ দিদারুল আলম’কে হাটহাজারী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই ¯স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন নতুন পাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি) এর পথেরহাট শাখায় এক দুর্ধষ চুরি সংগঠিত হয়। উক্ত চুরির ঘটনায় ইউসিবি ব্যাংক হতে ৫৫ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় একটি সংঘবদ্ধ চুর চক্র। পরবর্তীতে উক্ত চুরির ঘঠনায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, পথেরহাট শাখা প্রধান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -০৭(০৯)০৯ ধারা-৩৮২/৪১১/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০। তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ প্রতিবেদন এবং সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বর্ণিত মামলার আসামী মোঃ দিদারুল আলম’কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৪ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
৩। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনামে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন ঠান্ডাছড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৪ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ দিদারুল আলম (৫৩), পিতা-মৃত মনসুর আলম, সাং-রংমহল থানা- চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মর্মে স্বীকার করে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।