মানব সময় ডেস্ক :
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা হতে চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের রামপুর এলাকার পাঁকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্যসহ গাড়ীতে উঠার জন্য অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ০৯ জুন ২০২৩ ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ রবি আলম (১৮), পিতা- মৃত শামসুল আলম এবং ২। মোঃ মফিজুর রহমান (১৮), পিতা- মোহাম্মদ জোহা, উভয় সাং- মোচনী নয়াপাড়া ক্যাম্প, উভয় থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা দুইটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দুজনই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিক৷ দুজনই রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অনুমতি বিহীন অবৈধভাবে বাহির হয়ে এরূপ মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে৷ এছাড়াও জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৩ লক্ষ টাকা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।