মানব সময় ডেস্ক :
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, ৫/৬ জনের একটি ডাকাত দল চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানাধীন বড়তাকিয়া বাজার এলাকার একটি কালভার্টের উপর ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৩ মার্চ ২০২৩ খ্রি. তারিখ রাত আনুমানিক ০২৪৫ ঘটিকার সময় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ রুবেল(৩০), পিতা-মৃত. মনির হোসেন, সাং-কালাপানিয়া, থানা-স›দ্বীপ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-জলিল, বাইতুর শরীফ মসজিদের ভাড়াঘর, ভাটিয়ারী ইউপি, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ আনোয়ার হোসেন(৫২), পিতা-আব্দুল আজিজ, সাং-কালাপানিয়া, থানা-স›দ্বীপ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-ফৌজদারহাট সাঙ্গ রোড, পারভেজ কন্টাকটরের বিল্ডিং, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ নোমান(৫০), পিতা-মৃত. আবুল কাসেম, সাং-মুছাপুর, থানা-স›দ্বীপ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে শেরশাহ্, বিহারী মসজিদের সামনে, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ০৪। মোঃ কাদের(৪০), পিতা-মৃত. এমরান, সাং-খুইন্নারগু, থানা-স›দ্বীপ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-ফৌজদারহাট বাজারের পশ্চিমে, কামালের ভাড়া বাসা, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামদের’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নিজ নিজ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতঃ তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা আরো ০২ জন সহযোগী আসামীর সহায়তায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে পরস্পর জ্ঞাতসারে বর্ণিত ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছে বলে স্বীকার করে।
৩। আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশীর একপর্যায়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মূখে ০১নং আসামী মোঃ রুবেল(৩০) এর পরিহিত প্যান্টের কোমরে গুজানো অবস্থা হতে স্টিলের তৈরী ০১টি টিপ ছোরা, ধৃত ০২ নং আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন(৫২) তার পরিহিত প্যান্টের কোমরে গুজানো অবস্থা হতে স্টিলের তৈরী ০১টি টিপ ছোরা, ধৃত ০৩নং আসামী মোঃ নোমান (৫০) তার পরিহিত প্যান্টের কোমরে গুজানো অবস্থা হতে স্টিলের তৈরী ০১টি টিপ ছোরা এবং ধৃত ০৪ নং আসামী মোঃ কাদের(৪০) তার পরিহিত প্যান্টের কোমরে গুজানো অবস্থা হতে ০১টি কাঠের হাতল যুক্ত ছোরা আসামীরা নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সর্বমোট ০৪টি ছোরা উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয়।
৪। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা জোরারগঞ্জ, মিরসরাই ও সীতাকুন্ড এলাকার সংঘবদ্ধ ডাকাত। তারা বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়ে হাইওয়ে রোডে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। মোঃ রুবেল(৩০), ২। মোঃ আনোয়ার হোসেন(৫২), ৩। মোঃ নোমান(৫০), ০৪। মোঃ কাদের(৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ০২ জন আসামী পরস্পর জ্ঞাতসারে মারাতœক অস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশ্যে বর্ণিত ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে হাইওয়ে রোডে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহন করছিলো বলে নিজ মূখে স্বীকার করে।
৫। উল্লেখ্য সিডিএমএস পর্যালোচনা করে আটককৃত আসামী মোঃ রুবেল (৩০) এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া, হাটহাজারী এবং সীতাকুন্ড থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই সংক্রান্ত সর্বমোট ০৩ টি মামলা পাওয়া যায়। ধৃত আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন(৫২) এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় মারামারি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ০২ টি মামলা পাওয়া যায়। আসামী মোঃ নোমান(৫০) এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ ও জোরারগঞ্জ থানায় অবৈধ অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ০৫ টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ্ থানায় ০১ টি অবৈধ অস্ত্রের মামলাসহ সর্বমোট ০৬টি মামলা পাওয়া যায়। আসামী মোঃ কাদের(৪০) এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম এর সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি সংক্রান্ত ০১ টি মামলা পাওয়া যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।