মিলি সিকদার : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পরুয়া ছাএী নাজমা বেগমকে বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৪-০৯-২০২২ ইং তারিখে মাদ্রাসা চলা কালীন সময়ে নিজের কিছু জমানো টাকা দিয়ে মনিরাম বাজার থেকে কিছু প্রয়োজনীয় কসমেটিকস কিনতে যায়। এই বিষয় কে কেন্দ্র করে মেয়েটিকে কাচিয়া দাখিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আতরজ্জামান হুজুর, দাখিল মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। আর মাদ্রাসায় না আসার জন্য বলে দেন, এমনটাই বলেন নাজমা বেগমের বাবা-মা।
লিখিত অভিযোগ করে নাজমা বাবা গণমাধ্যমকর্মীদেরক জানায়,মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করে।
সাথে সাথে আমি হুজুরদের সামনে আমার মেয়ের বিচার করি।আতরজ্জামান হজুরের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার মেয়েকে যাতে বরখাস্ত না করে। নিয়মিত করার জন্য প্রত্যক শিক্ষকের কাছ থেকে আমি ও আমার মেয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চাই।
এ বিষয়ে তিনি আমার স্ত্রী’র কাছ থেকে সাদা কাগজে লিখিত দরখাস্ত নেয়। তিনি আমাকে আরও বলেন আপনার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন।ওনি একজন সচেতন লোক হয়ে আমার মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তিনি যাতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমার মেয়েকে পড়ার সুযোগ করে দেন।
তবে প্রধান শিক্ষক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন – নাজমা মাদ্রাসা চলাকালীন মনিরাম বাজারে যায়।এছাড়াও আমাদের প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুজনের সাথে দেখা করতে গিয়েছে এমন অভিযোগের সূত্র ধরে আমরা নাজমাকে বরখাস্ত করি।
নাজমার মায়ের দাবী- বিষয়টি হুজুরকে একটি মহল ভুল বুজিয়ে আমার মেয়ের ওপর জুলুম করেছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবী করছি। আমার মেয়ে পড়াশোনা করতে চায়। আমার মেয়েকে অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে।এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার বিশ্বাস জানান আমি সুপার থেকে বিষয়টি জানার পর যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।