শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম মহানগর ও থানা কমিটির উদ্যোগে ফুলেল সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত : চলছে অভিযান চলবে পদুয়া রেঞ্জর নেতৃত্বে রেঞ্জার মামুন মিয়া নগরীতে অসাধু চক্র-ঠকবাজ ও ‌প্রতারণা থেকে রক্ষায় পুলিশ কমিশনারের সতর্ক বিজ্ঞপ্তি তজুমদ্দিনে অগ্নিকাণ্ড : পরিকল্পিত ঘটনার অভিযোগ ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭জনক আটক তজুমদ্দিন উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন। এম এ হান্নান তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে আন্ত: ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বোয়ালখালীতে শহিদ জিয়া স্মৃতি শর্টপিজ ক্রিকেট শুভ উদ্বোধন পটিয়া উপজেলায় মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মরহুম মো: ইকবাল হোসেন এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল:

মা-মেয়ের প্রতারনার শিকার মিল্কি অভিযোগ পরিবারের | manob somoy

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২, ১০.৩৩ এএম
  • ২৪৪ বার পঠিত

 

সোনাগাজী প্রতিনিধি:

সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আমান উল্লাহ মাঝি বাড়ির জিয়াউল হক এর ছেলে আজিজুল হক মিল্কি। একই বাড়ির নুর নবী ও হনুফা বেগমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস নিফা। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আজিজুল হক মিল্কিকে ফেনী কোর্টে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

জিয়াউল হক জানান, প্রথমে আমি এই বিয়েতে ছিলামনা, তবে ছেলে ও মেয়ের দিকে এবং সামাজিক বিবেচনায় মেনে নিই, এবং নিফাকে আমার মেয়ের মত আদর-যত্ন করি। আমার একটা ৫-৬ মাসের আতিকুল হক জাওয়াদ নামের আদরের একজন নাতি রয়েছে। হঠাৎ করে আমার বেয়াইন হনুফা বেগম আমার ছেলের বউ আর আমার একমাত্র আদরের নাতিকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। অনেক খোঁজা খুঁজির পরও তাদেরকে আর পেলামনা।

পরে জানতে পারলাম আমার এলাকার রিপন ও আফসার এর কু-মন্ত্রনায় ও সহযোগিতায় হনুফা বেগম এই অমানবিক কাজটি করেছেন। কিছু দিন যাওয়ার পর ডাকযোগে একটা তালাকনামা হাতে পাই। সাথে সাথে আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান জনাব জহিরুল আলম জহির মহোদয় কে বিষয়টি অবহিত করি। চেয়ারম্যান মহোদয় সমঝোতা বা কি কারনে তালাক দিলো তা জানতে বারবার নোটিশ দিলে এলাকা থেকে রিপন ও আফসার এর সহযোগিতায় কুমিল্লার দ্বেবিদ্বার এলাকায় হনুফা বেগম এর বাবার বাড়ি চলে যায়। আমি নাতিকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পাগলের মত খুঁজতে খুঁজতে সেখানে যাই, নাতিকে দেখে আমার কান্না আর ধরে রাখতে পারিনি।

আমি কান্নাকাটি করে আমার বেয়াইন ও বউমাকে বুঝিয়ে এসেছি বাড়িতে চলে আসার জন্য, আমাদের কোন ভুল হলে মাপ করার জন্য। কিন্তু তারা আমার কথা রাখলোনা। কি কারনে আমার বউমা চলে গেলো, কেন আমার ছেলেকে তালাক দিলো, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে নিফা এইকাজ করতে পারেনা, তার মা আমার ছেলের সাথে প্রতারণা করে রিপন, আফসারের যোগসাজেসে জোর করে তালাকনামা পাঠিয়েছে।

আজিজুল হক মিল্কি জানান, আমার সুখের সংসার আজ বিরানা হয়ে গেছে। আমার নিপা আমার কাছ থেকে মায়ের কুপরামর্শে চলে গেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমাার নিপাকে ফিরে ফেতে চাই। নিপা তুমি ফিরে এসো আপনালয়ে। সংসারে কেন এমন হলো এমন প্রশ্নের জবাব মিল্কি বলেন, আমার পরিবারকে না জানিয়ে আমার শাশুড়ীকে আমি প্রায় ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা লোন করে দিই, যাদিয়ে তিনি জায়গা ক্রয় করেছেন। এদিকে টাকা পরিশোধ করার কোন পদক্ষেপ নেই দেখে আমার শাশুড়ীকে টাকার চাইলে তিনি তালবাহানা করতে থাকেন, এবং আমার সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলেন তিনি। এব্যাপারে আমার পরিবার ও নিপা কোন কিছু জানেনা। এদেরকে গোপন রেখেই আমি আমার শাশুড়ীর কথায় লোন করে দিই।

এব্যাপারে জানতে হনুফা বেগম এর মোবাইলে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন, পরবর্তীতে আরো কয়েকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যপারে জানতে চাইলে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এ আজিজুল হক মিল্কি, পিতাঃ জিয়াউল হক দুই পক্ষের মাঝে সমোঝোতা করে দেওয়ার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি ববারবার নোটিশ করলেও হনুফা বেগম ও তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস নিফা আমার আদালতে হাজির হয়নি। পরবর্তীতে আমি জানতে পারলাম যে তারা নবাবপুর এলাকার বাহিরে আত্মগোপন করেছেন যেন সমোঝোতা করা না যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com