তোতা মিয়া, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়।এ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে উঁচু জমিতে রঙ্গিন এই আমের চাষ করতে দেখা যায়।
একরের পর একর জমিতে এই রঙিন সূর্য ডিম আমের বাগান ছেয়ে আছে।
রঙ্গিন এই সব আম সবুজ ক্ষেত কে আরো রঙ্গীন করে তুলেছে।
এই আমটির নাম মিয়াজাকি বা রেড ম্যাংগো বা এগ অব দ্য সান বলা হয়, যা বাংলাদেশের সূর্য ডিম আম নামেই পরিচিত।
জানা যায় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের প্রজাতি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এই সূর্য ডিম আম। পঞ্চগড়ের উঁচু জমিতে বিশ্বের সেরা ও দামি আমি এর খেতাব পাওয়া যায়। মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম আমের চাষ করে সাফল্যতা পেয়েছেন পঞ্চগড় তেতুলিয়া উপজেলার মাগুরা গ্রামের আম চাষি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহবুবুর রহমান।
২০২১ ও ২০২২ পরিক্ষা মুলক ভাবে জাপানের মিয়াজাকি আমের চাষাবাদ শুরু করেন প্রথম বারের মত এবং সফলতা ও পান তিনি।
এই মিয়াজাকি আমের মাতৃ চারা সংগ্রহ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ।
এরপর তার বাগানে কলম ছরার মাধ্যমে চারা উৎপাদন করেন। বাণিজ্যিকভাবে বাগানে ২০২২সাল থেকে
ভালো ফলন হয়।
প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম। পুরো, লাল রঙ্গে মোড়ানো জাপানি এই আমটির স্বাদ অন্য আমের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি ও আমটি খেতে খুবই মিষ্টি।
এর গড় ওজন প্রায় ৭০০ গ্রামের মতো।
বিশ্ববাজারে এর দাম প্রায় ৭০ ডলার বা ৬ হাজার টাকা।
সে হিসেবে প্রতি ১০ গ্রাম আমের দাম এক ডলারের মতো আমটি স্বাদের চেয়ে চাষ পদ্ধতির কারণে বেশি দামি।
সূর্য ডিম আমটির মজাদার চাষ পদ্ধতি হচ্ছে একটি গাছের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান মাটি ব্যবহার করতে হয়
(টবে এর মতো)পুরো বাগান কে স্বচ্ছ সাউনি বা অফসেড দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় মুকুল গুলো মৌমাছি দিয়ে পরাগায়ন হয়ে থাকে একটি মুকুল মাত্র একটি আম রেখে বাকি আমগুলো ছাঁটাই করে দিতে হয় আম পরিপক্ক হলে প্রতিটি আম কে অপরের সাউনির সাথে বেঁধে দিতে হয় একটি নেট ব্যাগের মধ্যে আমটি আলতোভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
যাতে আমটি পাকলে মাটিতে না পড়ে অক্ষত অবস্থায় ঝুলন্ত নেট ব্যাগের মধ্যে পড়ে।
আন্টি প্রকৃতিভাবে একা একাই পাকে।