ডেস্ক নিউজ :
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যেমন থমকে গিয়েছিল, একইভাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আয়ের ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকের ব্যবসাও বন্ধ হয়েছে। ফলে আয় কমে এসেছে দেশের একটি বড় অংশের মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই জ্বালানি তেলের এই দামের প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এক বিবৃতিতে মুহাম্মদ আলী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার পর হঠাৎ করে ১ লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমানো হয় তখন কিন্তু দেশীয় বাজারে তেলের দাম কমানোর কোন নজির দেখা যায়না। কাজেই হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ানোর ফলে প্রভাব পড়বে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর।
সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড ১৯ এর কারণে এমনিতেই দেশের বেশির ভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেরও দাম চড়াও যার ফলে সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপদে । আর এখন তো তেলের দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবহন খাত কারণ করোনার লকডাউনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিলো পরিবহন, তাই ইতিমধ্যে পরিবহন সেক্টরে চলছে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট। এই ধর্মঘটে চলছে না কোন দূরপাল্লার কোন গাড়ি। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এই বৃদ্ধি কারণে কৃষি কাজে ব্যয় বাড়বে এবং এই বৃদ্ধি সমস্ত উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করবে। পণ্যের ব্যয় বৃদ্ধিসহ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই সরকার যেহেতু জনগনের সরকার সেহেতু জনগণের স্বার্থে তেলের দাম সহনীয় করতে বিবেচনা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।