মানব সময় ডেস্ক :
২৯ মুহররম পীরে তরিকত, আল্লামা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খায়রুল বশর হক্কানী (রহ.)-এর ওফাত দিবস মুসলিম তাসাউফ জগতের জন্য এক শোকাবহ স্মৃতিবাহী দিন। এই মহান অলির ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহ হারায় এক পরিপূর্ণ আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শককে, যিনি তাঁর ইলম, আমল ও রুহানিয়তের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন।
তাঁর জীবন ও অবদান সংক্ষেপে:
আল্লামা খায়রুল বশর হক্কানী (রহ.) ছিলেন একজন আলেম, মুফাসসির, শাইখুল হাদিস, মুর্শিদে কামেল এবং একইসাথে একজন সফল শিক্ষা সংগঠক। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ তরিকতি ব্যক্তিত্বদের অন্যতম হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর খলিফাগণ, মুরিদগণ এবং অনুসারীগণ আজও তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন সমাজে।
ওফাত দিবসের তাৎপর্য:
২৯ মুহররম শুধু তাঁর ইন্তেকালের দিন নয়, বরং এটি স্মরণ করিয়ে দেয় সেই জীবনের, যেটি ছিল ইলম, ইখলাস ও ইবাদতের নিখাদ অনুশীলন। এই দিনটিতে তাঁর অনুসারীরা মিলাদ মাহফিল, ক্বসিদা পাঠ, কুরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করে থাকেন, যেন তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা যায় এবং তাঁর শিক্ষাকে নতুন করে হৃদয়ে ধারণ করা যায়।
আমাদের করণীয়:
আল্লামা খায়রুল বশর (রহ.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ।
তরিকার আদর্শে আত্মশুদ্ধির চর্চা।
ওলী-আউলিয়ার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করা।
তার রেখে যাওয়া মিশনকে এগিয়ে নেওয়া।
এই বিশেষ দিনে আমরা আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করি— “হে আল্লাহ! আমাদের প্রিয় পীরে তরিকত আল্লামা খায়রুল বশর হক্কানী (রহ.)-কে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো এবং তাঁর রেখে যাওয়া নেক আমলগুলোকে আমাদের জন্য হেদায়েতের আলোকবর্তিকা বানিয়ে দাও। আমিন।”
-হুজুর কেবলার ছাত্র-মো: মাইন উদ্দিন হাসান।