মানব সময় ডেস্ক ||
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের কিশোরী এবং ঝিনাইদহের একটি মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। আনুমানিক গত ০১ বছর পূর্বে জনৈক বাবু দে নামের এক যুবকের সাথে টিকটক ভিডিও এর মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে জনৈক বাবু দে প্রায়শই ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন রকম কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মোবাইলে এমন অশালীন কথা বার্তা বলার বিষয়টি ভিকটিম তার বাবার নিকট জানায়। ভিকটিমের বাবা জনৈক বাবু দে’কে বিষয়টি বুঝিয়ে বলে এবং তার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করে। ভিকটিমের বাবার এরুপ কথায় বাবু দে ক্ষিপ্ত হয়ে তার অপরাপর সহযোগীদের সাথে আলোচনা করে ভিকটিমকে অপহরণ করার ষড়যন্ত্র করে।
৩। পরবর্তীতে গত ১৩ মে ২০২৩ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬০০ ঘটিকার ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে জনৈক বাবু দে তার অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় একটি মাইক্রোবাস যোগে উক্ত স্থানে এসে ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন রকম কথা বলে ফুসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে উক্ত মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরন করে মাগুরা শহরের দিকে নিয়ে যায়। ঐ সময় ভিকটিমের দুইজন বান্ধবী উক্ত অপহণের ঘটনাটি দেখে চিৎকার করে তখন আশে পাশের লোকজন এসে এরুপ অপহরণের বিষয়টি প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পায়। তৎসময় ভিকটিমের বান্ধবীরা বাড়ীতে এসে অপহরণের বিষয়টি তার বাবাকে জানায়; তখন ভিকটিমের মা-বাবা এবং তাদের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজ করে। মেয়েকে অনেক খোঁজ করে কোথায়ও খুজে না পেয়ে অপহরণের ঘটনাস্থালে এসে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে পারে যে, তার মেয়েকে বাবু দে নামক এক যুবক তার অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় একটি মাইক্রবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।
৪। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা স্বপন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ১৫ মে ২০২৩ইং তারিখ ঝিনাইদহ সদর থানায় বাবু দে’কে প্রধান আসামী করে ৪ জন নামীয় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন, যার নং-৩৩/১৯৮, তারিখ-১৫/০৫/২০২৩খ্রিঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর ৭/৩০। এসময় ভিকটিমের বাবা ঝিনাইদহ থানা পুলিশ কর্তৃক জানতে পারে যে, তার মেয়ে ও অপহারণকারীরা বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় অবস্থান করছে।
৫। এরুপ তথ্যের প্রেক্ষিতে মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে আটকের জন্য ভিকটিমের বাবা স্বপন কুমার বিশ্বাস র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ মে ২০২৩ ইং তারিখ ২০০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সুজন দে প্রঃ বাবু দে(২৬), পিতা-মৃত শ্যামল কুমার দে, সাং-পশ্চিম ধলই, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মুক্তা দে (৩০), স্বামী-সৌরভ সরকার, পিতা-মৃত শ্যামল কুমার দে, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম ও ৩। রুপন দে(৪৭), পিতা-মৃত যতীন্দ্র লাল দে, সাং- পশ্চিম ধলই, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামদের’কে আটক এবং ভিকটিম এর বাবা’র সনাক্ত মতে তার নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা অসৎ উদ্দেশ্যে নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে ঝিনাইদহ থেকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম এসে আত্মগোপন করেছিল।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Editor : Md.Moslauddin (Bahar) Cell: 01919802081 Dhaka Office :: Manni Tower, Road 09,House : 1258 Mirpur Dhaka. Cell:01747430235 email : manobsomoynews@gmail.com Chattogram office :: Lusai Bhaban,( 2nd Floor) Cheragi Pahar Circle, Chattogram. Cell: 01919802081
© All rights reserved manobsomoy