শরণখোলা প্রতিনিধি :
শরণখোলা উপজেলা ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়নের ৪৩ নং মালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক স্কুলে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় অভিভাবক প্রধান শিক্ষক শাহ আলম এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে টাকা পরবর্তী সময় পাবে এ বিষয়ে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক অভিভাবককে সম্মতি দেন একপর্যায়ে দুজনার কথা-বিতণ্ড হলে অভিভাবককে লাইব্রেরীতে তালাবদ্ধ করে রাখেন প্রধান শিক্ষক, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় অভিভাবক টাকা না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেছেন প্রধান শিক্ষক বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে তিনি স্কুলে আসেন, প্রধান শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করেন আমার টাকা পাওয়ার উপায় কি প্রধান শিক্ষক পূর্বের কথা ধরে তাকে একপর্যায়ে লাইব্রেরী রুমে তালা বন্ধ করে রাখেন এ ব্যাপারে ভুক্তভোগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে
ভুক্তভোগী জানান আমি নির্দোষ আমি শুধুমাত্র তার কাছে জিজ্ঞেস করতে আসছি এ ব্যাপারে তার খারাপ লাগায় তার উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকগণের সামনেই আমাকে লাইব্রেরী রুমে রেখে তারা বাহিরে গিয়ে আমাকে তালাবদ্ধ করে রাখে, আমি স্কুলের সভাপতি মহোদয়কে ফোন করেছি তিনি আসবে বলেন আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন উনিতো চুরি ডাকাতি করে নাই তাহলে তালাবদ্ধ করে কেন রাখল নিশ্চয়ই পরিকল্পিত ভাবে হয়তো কোন ক্ষোভ রয়েছে এবং তিনি যে আত্মসাৎ কারী এ বিষয়ে মানুষ জানাজানি করবে তাই তাকে তালাবদ্ধ করে হয়তো ভয় দেখানো হচ্ছে, অন্যদেরকেও ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন, তারা আরো বলেন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খুলেন না, একজন অভিভাবক পরিচয় গোপন রেখে জানান তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বছর দুই আগে মামুন হাওলাদারের মেয়ে হাফিজা আক্তার তাকে কারেন্টের তার দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয় এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে বিষয়টিতে নিয়ে এড়িয়ে যায় পরবর্তীতে তারা বিচার দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে একটি সালিশ হয় তবে এরকম দৃষ্টান্তমূলক তার অনেক অন্যায় রয়েছে, স্কুলের যত উন্নয়নমূলক কাজের জন্য টাকা আসে কোন টাকায় কোন খাতে খরচ করে না,সবগুলো নিজে আত্মসাৎ করেন এ বিষয়ে যদি কেউ জানতে চায় তার প্রতি তিনি খোব সৃষ্টিহন এবং তিনি সর্বসময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভয় দেখিয়ে আসেন ভুক্তভোগের স্ত্রী জানান আমার স্বামী নির্দোষ তিনি শুধুমাত্র জানতে চেয়েছেন যে আমার টাকা কেন আসেনি কখন পাবো এতোটুক কথাতেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে লাইব্রেরীতে তালাবদ্ধ করে রেখে বলেন আইনের হাতে তুলে দিবেন আমার স্বামী তো কোন চোর ডাকাত না তাহলে তার সাথে এরকম ব্যবহার কেন করা হলো, আমি আইনের কাছে জানতে চাই, এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই ব্যক্তি অনেক অন্যায় করেছেন তাই তাকে প্রধান শিক্ষক তালাবদ্ধ করে রেখেছেন আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে UNO এবং TO কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তারা আইনের ব্যবস্থা নেবেন।পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী ঝড় হলে হলে স্কুলের সভাপতির উপস্থিতিতে অভিভাবককে একটি মোসলেখা দিয়ে তালা খুলে তাকে চলে যেতে দেয়া হয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি প্রধান শিক্ষক যদি অন্যায় করে থাকে তাকে আইনের আওতায় নিশ্চয়ই আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন।
Editor : Md.Moslauddin (Bahar) Cell: 01919802081 Dhaka Office :: Manni Tower, Road 09,House : 1258 Mirpur Dhaka. Cell:01747430235 email : manobsomoynews@gmail.com Chattogram office :: Lusai Bhaban,( 2nd Floor) Cheragi Pahar Circle, Chattogram. Cell: 01919802081
© All rights reserved manobsomoy