মিলি সিকদারঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়ন ৪নংওয়ার্ডের এক ভন্ড প্রতারক কিছু দালাল চক্রের সহযোগিতায় পানি পড়া, তাবিজ কবজ, সুতা পড়া তাবিজ কবজ, উত্তোলন করে জ্বিন-পরির মাধ্যমে। এমন প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই প্রতারক ভন্ড বিল্লাল খনকার । বিল্লাল উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের মৃতঃ আলী খনকারের বড় ছেলে। এই ভন্ড প্রতারক বিল্লালের কাছে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মহিলা পুরুষ তার কাছে এসে ধরা দেয় । সেও বিভিন্ন ছল চাতুরির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা ও স্বর্ণ গয়না। আর এসব প্রতারণা করে প্রতারক বিল্লাল করেছেন সম্পদের পাহাড়। প্রতারণা করে টাকা নেওয়ার পরে কেউ ভয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদকর্মীদের জানান, আমার শারীরিক কিছু অসুবিধা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি ১৬হাজার টাকা চুক্তিতে আমার শারীরিক অসুবিধা ভালো করে দেবেন বলে জানান। কিন্তু এই প্রতারক বিল্লালকে ১৬হাজার টাকা দিয়েও কোন উপকার পাইনি । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী নারী জানান, কিছুদিন আগে এই প্রতারক বিল্লালের কাছে আমার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে আসলে তিনি ২০হাজার টাকার বিনিময়ে সুস্থ করে দিবেন, এমন চুক্তি করে। কিন্তু ২০ হাজার টাকা দিয়েও আমার মেয়ে তো সুস্থ হয় নাই বরং প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা ভয়ে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে পারি না।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা ছদ্মবেশে হাজির হয়ে বিল্লালের বাড়িতে রোগী সেজে বিল্লাল কে বলা হয়, আমি মিলি শিকদার আমার তিনবছর আগে বিবাহ হয়েছে কিন্তু সন্তান হয় না। প্রতারক বিল্লাল মিলির কাছে ১৬'শ'১টাকা ফি চাইলেন তিনি হাজিরার টাকা দেন এরপর বিল্লাল তার প্রতারণার মূল কৌশল ঘরের মধ্যে চাদর টানিয়ে অন্ধকার করে জ্বিন পরি মাধ্যমে মিলিকে বলেন আপনার সন্তান হওয়ার তদবির নিতে হলে ২২হাজার৬'শত'৫৭টাকা লাগবে।অথচ মিলি সিকদারের ১বছর৯মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এরপর প্রতারক বিল্লালকে সংবাদকর্মী পরিচয়ে কথা বললে তিনি সংবাদকর্মীদের ওপর চরাও হয়ে তার ভাই সহ অন্তত দশ জনের একটি সংঘবদ্ধচক্র সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে সংবাদকর্মীদের মোবাইল, ক্যামেরা, স্বর্ণের চেইন, ও প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেন ওই চক্র। স্থানীয় লোকজন এসে সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করেন।হামলার শিকার হয়ে সংবাদকর্মীরা ৯৯৯ কল করলে পরে শশীভূষণ থানা পুলিশ এসে প্রতারক বিল্লাল সহ তার ছোট ভাই জয়নালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণকরেন।এ বিষয়ে মিলি সিকদার বাদী হয়ে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ০৬। জানা গেছে, বিল্লাল খনকারী নামক পেশার বদলতে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ওঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। উপজেলার জাহানপুরে খরিদ করেছেন অসংখ্য দোকান ভিটি ও জমিজমা । ব্যাংকে রয়েছে গচ্ছিত নগদ টাকা।
তার এই সমস্ত আয়ের উৎস সম্পর্কে গণ-মাধ্যম জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন খনকারীর নামে প্রতারণা করে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন । তার এহেনও অবৈধ কর্মকান্ড পুলিশ প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো এসব বিষয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, প্রতারক বিল্লাল বহুদিন যাবত খনকারির নামে প্রতারণা করে আসছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক বিল্লাল সহ তার সহযোগী ছোট ভাই জয়নালকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি।
Editor : Md.Moslauddin (Bahar) Cell: 01919802081 Dhaka Office :: Manni Tower, Road 09,House : 1258 Mirpur Dhaka. Cell:01747430235 email : manobsomoynews@gmail.com Chattogram office :: Lusai Bhaban,( 2nd Floor) Cheragi Pahar Circle, Chattogram. Cell: 01919802081
© All rights reserved manobsomoy