ডেস্ক নিউজ :
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার বলেছেন, সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। এসব স্কুলগুলোতে শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের উপর নির্ভর করেই শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দুর্বিসহ কষ্টে পড়ে গেছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
পরস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করতে বাধ্য হবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের প্রায় ৮০ভাগ বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হবে এবং তাতে এক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।বর্তমান পেক্ষাপটে কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও স্কুলের শিক্ষকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করার দাবী জানান।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রামের নেতবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায়-মিজানুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসোসিয়েশনের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো: সরোয়ার খান মনজু’র সভাপতিত্বতে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের।
মোহাম্মদ আনিছ ও শরিফ মাহববুল হক পরিচালানায় মাওলানা জাকারিয়া সিরাজের কোরআন তেলোয়াত মাধ্যমে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন আমেনা সুলতানা, হাসান মুকুল, মুহাম্মদ সাজেদ ইকবাল, সৈয়দ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো: ফজলুর রহমান, টিপু কান্তি দাশ, মাশুকা বেগম, হোসনে জাহান কলি, ডা: মোহাম্মদ ইসমাঈল সিরাজী,মৌলানা মনিরুল ইসলাম, ডা: এ.কে. এম. জিয়া উল করিম, মোহাম্মদ হোছাইন, মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, দেদুল বড়ুয়া, এম. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ এরশাদ হোছেন, মো: আনোয়ার আলম, মো: ইয়াছির আরাফাত, মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ, ইমাম হোসেন চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় বক্তাগনের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান আরো বলেন, বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কখনো সরকারের কাছে বেতন ভাতার জন্য আবেদন করেনি। এ সকল স্কুলগুলো যদি না থাকতো তাহলে সরকারকে আরো ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতন বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো।
আমরা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এই করোনার কারণে আজ ভয়ানক আর্থিক সংকটে পড়ে গেছেন। তাদের কথা ও তাদের প্রতিষ্ঠানের কথা সরকারের গুরুত্বের সাথে ভাবা আজ একান্ত দরকার।
Editor : Md.Moslauddin (Bahar) Cell: 01919802081 Dhaka Office :: Manni Tower, Road 09,House : 1258 Mirpur Dhaka. Cell:01747430235 email : manobsomoynews@gmail.com Chattogram office :: Lusai Bhaban,( 2nd Floor) Cheragi Pahar Circle, Chattogram. Cell: 01919802081
© All rights reserved manobsomoy