আজকের শিশু, আগামী দিনের ভবিষ্যত।একথা কায়োমনোবাক্যে সবাই হর হামেশা বলে থাকি। বাস্তবিকতাও তাই। যারা দেশ তথা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারাতো একদিন শিশু ছিলেন। আর যারা কবি, লেখক, বিজ্ঞানী, গবেষক, রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন সবাই শিশু ছিলেন। শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে সব শিশুদের অন্তরে। কবির একথা মোটেই অমূলক নয়। ছোট বেলার পাঠ্য বইয়ে প্রাক প্রাথমিকে পড়েছি বড় হরফে লিখা-সদা সত্য কথা বলিবে, কখনো মিথ্যা কথা বলিবে না। উদ্ধমুখে পথ চলিও না, উগ্রভাব ভালো নয়। এসব কথা বিদ্যাপিঠে একেবারেই অনুপস্থিত। কোমলমতি শিশুদের আদর্শিক বাক্য শ্রবণে যে তার মানসিক গঠন ভালো ু সুন্দর করে তার বাস্তবতা অনুমেয়। একটি শিশু জন্মের পর বেশি আদর, সাহচর্য ও ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। তার মায়ের কাছে। তারপর বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে। একটু বড় হয়ে প্রতিবেশীর কাছ থেকে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও বিকাশ, যে পরিবার এবং সমাজের কতখানি অবদান রাখে তা আশা করি ভেবে দেখার অবকাশ থাকেনা। পরিবারে যদি প্রত্যহ ঝগড়াঝাটি, কলহ লেগে থাকে তা শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে বড় আঘাত আসে। মানসিক চিকিৎসকগনও তা বলে থাকেন। তার উপর প্রতিবেশীর যদি কোন সন্তান উশৃংখল, মাদকগ্রস্থ কিংবা খারাপ মনোবৃত্তি থাকে। সে সন্তানদের সাথে অন্যরা মিশে ওই পথে পা বাড়ানোর শংকাই থেকে যায়। এরকমটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই আমাদের সুস্থ সমাজ গড়তে, সুস্থ পরিবার চাই। ইদানিং বিভিন্ন গনমাধ্যমে কিশোর গ্যাং একটি অপ্রস্তুত বাক্য প্রচারিত হয়ে আসছে। শিশুরা মায়ের কোল থেকে যখন একটু একটু করে দাঁড়ায় হাত ধরে। যে হাতের স্পর্শে শিশুটি দাড়াচ্ছে, বড় হচ্ছে সে হাতের মমতাময়ী স্পর্শ কোমল হলেও নির্মম কঠিন। যে সন্তানটি আজ সমাজে নষ্ট হয়ে গেছে, বিপদগামী হয়ে গেছে, সেওতো ওভাবেই বড় হয়েছে। ব্যতিক্রম যে কিছু নেই তা নয়। কারো কারো অনাদর অবহেলায় জন্ম হওয়া এবং বেড়ে উঠা । তাদের জন্য পরিবার সমাজ দায়িত্ব নেয়নি। তাদের কেউ বিপদগামী হলে আমাদের কিইবা বলার আছে। যারা একটি সুন্দর পরিবার পেয়েছে, ভাল পরিবেশ পেয়েছে আজ তাদেরকে ঘৃুনে ধরেছে। পরিবারের দায়িত্ববোধ এবং সমাজের অবক্ষয়ে নতুন প্রজন্মের একটি অংশ নিজের নাম লেখাচ্ছে অপরাধীর তালিকায়। অপরাধী হয়ে কেউ জন্মায় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতিতেই কিশোররা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলেছে। যে আজ কিশোর,কিছুদিন পর যুবক এবং পরবর্তীতে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে নিজের অবস্থান করে নেয়। এক সময় পরিবারের দায়িত্বও চলে আসে তার উপর। ওই কোমলমতি কিশোর যখন কোন বড় ভাইয়ের সাহচর্য পেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে যায়, কিংবা অস্ত্রের ব্যবহার ও অবৈধপথে উপার্জন শিখে কিশোরটি শুধু নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করছেনা। মা-বাবার স্বপ্নটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে বড় ভাই ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল নক্ষত্রটি নষ্ট করেছেন, বিপদগামী করে চলেছেন, তারা ভেবেছেন একদিন আপনার নিজের সন্তানও বিপদগামী হবে। না ভাবার কারণে শেষ বয়সে শুধু আপছোষ ছাড়া কিছু করার থাকেনা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এরই মধ্যে সারাদেশে কিশোর অপরাধীদের তালিকা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। একবার অপরাধীর নাম তালিকায় আসলে ভবিষ্যত জীবনের পথ নষ্ট হয়ে যায়। পথে পথে হোচট থেকে হয়। এলাকার কোন দূর্ঘটনাই ঘটলে কোন না কোন ভাবেই নামটি ছলে আসে। এটাই আমাদের মা-বাবা পরিবার সবাইকে ভাবতে হবে। আমার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, ছেলে মেয়ে বড় হওয়ার পর বিবাহ অবধি দায়িত্ব আরো বেশী বেড়ে যায় বাবা মায়ের। আর সমাজের শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো কিছু কে। কিছু ভালো কাজে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিপদগামীর সংখ্যা কিন্তু বেশী নয়। ভালো মানুষের সংখ্যই বেশী। ভালো মানুষের ঐক্যবদ্ধতা নেই, তাই ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে সুস্থ সমাজের বিকল্প নেই। ০১.০৮.২০২১
Editor : Md.Moslauddin (Bahar) Cell: 01919802081 Dhaka Office :: Manni Tower, Road 09,House : 1258 Mirpur Dhaka. Cell:01747430235 email : manobsomoynews@gmail.com Chattogram office :: Lusai Bhaban,( 2nd Floor) Cheragi Pahar Circle, Chattogram. Cell: 01919802081
© All rights reserved manobsomoy